আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলায় হাবিবুর রহমান নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে এক গরীব কৃষকের বেঁচে থাকার সম্বল অর্ধলাখ টাকার বাঁশ কেটে নেয়ার অভিযোগ।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে আদিতমারী থানা পুলিশ গিয়েও বাঁশগুলো উদ্ধার করতে পারেনি।
অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান আদিতমারী উপজেলার তালুক পলাশী গ্রামের মৃত সদ্দি গুড়াতির ছেলে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সুফিয়ান সুহরি একই গ্রামের মৃত সহির উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পলাশী বাজার হতে মহিষাশ্বহর গামি সড়কের পাশে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৪শতাংশ জমিতে বাঁশ বাগান করেন সুফিয়ান সুহরি। অন্য কোন জমি না থাকায় ওই বাঁশ বাগানের আয়ে দীর্ঘ ২০/২৫ বছর ধরে চলে তার সংসার। সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে হঠাৎ দলবল ও দেশী অস্ত্র নিয়ে ওই বাঁশ বাগানের সমস্থ বাঁশ কেটে নিয়ে যায় প্রতিবেশী প্রভাবশালী হাবিবুর রহমান। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে সুফিয়ান সুহরিকে অস্ত্র দিয়ে জখম করার চেষ্টা চালায়। জীবন বাঁচাতে ছটকে পড়েন এ কৃষক। এরপর ওই বাঁশ বাগানের সমস্থ বাঁশ কেটে নিয়ে যায় প্রভাবশালী হাবিবুর রহমান। এসব বাঁশের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫৫হাজার টাকা। এ ঘটনায় বাঁশ উদ্ধার ও ক্ষতিপুরন দাবি করে হাবিবুর রহমানসহ ৫জনের বিরুদ্ধে ওই দিন রাতে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কৃষক সফিয়ান সুহরি। অভিযোগটি আমলে নিয়ে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও বাঁশগুলো উদ্ধার করতে পারেনি।
কৃষক সুফিয়ান সুহরি সাংবাদিকদের বলেন, ২৫/৩০বছর ধরে এ বাঁশ বাগানের আয়ে সংসার চলছে। বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল এ বাঁশ বাগান। সেটাও অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে সবগুলো কেটে নিলো হাবিবুর। থানায় অভিযোগ দিলেও তা উদ্ধার করতে পারেনি। বরংচ অভিযোগ তুলে না নিলে মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযুক্ত প্রভাবশালী হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাঁশগুলোর ছায়ায় আমার ক্ষেতের ফসল হয় না। তাই কেটে নিয়েছি।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) গুলফাম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।